মিরিঞ্জা ভ্যালি বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় অবস্থিত একটি চমৎকার নতুন পর্যটন স্থান, যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত। এটি মেঘ আর পাহাড়ের মনোরম দৃশ্যের জন্য খুব জনপ্রিয়।
কীভাবে যাবেন:
প্রথমে চকরিয়া: বাংলাদেশের যেকোনো স্থান থেকে কক্সবাজার গামী বাসে চকরিয়া বাস টার্মিনালে নামতে হবে। ঢাকা থেকে চকরিয়ার দূরত্ব ৩৭৪ কিঃ মিঃ। পৌছাতে সময় লাগবে প্রায় ৭ ঘন্টার মত।
চকরিয়া থেকে লামা/মিরিঞ্জা: চকরিয়া থেকে জিপ (চান্দের গাড়ি), লোকাল বাস বা সিএনজি করে লামা-আলীকদম সড়ক ধরে মিরিঞ্জা বাজার নামতে হবে।
মিরিঞ্জা ভ্যালি: মিরিঞ্জা বাজার থেকে মিরিঞ্জা পাহাড়ে হেঁটে ১৫ মিনিটের মত গেলেই মিরিঞ্জা ভ্যালি পৌঁছানো যায়।
বিশেষ আকর্ষণ:
মেঘ আর পাহাড়ের খেলা: এটি মিরিঞ্জা ভ্যালির প্রধান আকর্ষণ। বিশেষ করে বর্ষা এবং শীতের সকালে মেঘের ভেলার দৃশ্য মন মুগ্ধ করে।
সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত: এখান থেকে অসাধারণ সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করা যায়।
চারপাশের দৃশ্য: পরিষ্কার দিনে মাতামুহুরী নদী, লামা উপজেলা, এমনকি কক্সবাজারের উপকূলরেখা (মহেশখালী দ্বীপ ও বঙ্গোপসাগর) পর্যন্তও দেখা যেতে পারে।
পর্যটন কমপ্লেক্স: মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্সে একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার রয়েছে।
কোথায় থাকবেন:
মিরিঞ্জা ভ্যালি ও তার আশেপাশে বেশ কিছু সুন্দর রিসোর্ট এবং কটেজ গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে কয়েকটি জনপ্রিয় হলো:
মেঘকুঞ্জ রিসোর্ট
মিরিঞ্জা হিল রিসোর্ট
মিরিঞ্জা হ্যাভেন রিসোর্ট
মারাইংছা হিল রিসোর্ট
মিরিঞ্জা সানসেট রিসোর্ট
লামা হিল স্টেশন এন্ড বেজ ক্যাম্প
আপনি আপনার প্রয়োজন ও বাজেট অনুযায়ী রিসর্টে যোগাযোগ করে রুম/কটেজ বুক করে নিতে পারেন।
আশেপাশের স্থান:
আলী কদম আলীর সুড়ঙ্গ (গুহা): যারা অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন, তারা আলী কদম উপজেলায় মাতামুহুরী-টোয়াইন খাল ঘেঁষে অবস্থিত এই গুহাগুলো ঘুরে আসতে পারেন।
সুখিয়া ভ্যালি: মিরিঞ্জা ভ্যালির কাছেই অবস্থিত এটি।
মাতামুহুরী নদীর তীর: নদীর কুল ঘেঁষেও কিছু রিসোর্ট তৈরি হয়েছে।
প্রয়োজনীয় তথ্য:
সময়: মেঘের দৃশ্য ভালো দেখতে চাইলে বর্ষাকালে অথবা শীতের শুরুর দিকে যেতে পারেন।
সঙ্গে রাখুন: পাহাড়ি পরিবেশে ভ্রমণের জন্য আরামদায়ক জুতো, দিনের বেলায় হালকা ও রাতে ঠান্ডা লাগার জন্য গরম জামাকাপড়, টর্চ লাইট এবং ব্যক্তিগত ওষুধপত্র নিতে ভুলবেন না।
নিরাপত্তা: স্থানীয়দের সাথে ভালো ব্যবহার করুন এবং তাদের নির্দেশনা মেনে চলুন। পাহাড়ি রাস্তা সাবধানে চলাচল করবেন।
যোগাযোগ: রিসোর্টগুলোতে আগে থেকে বুকিং দিয়ে গেলে সুবিধা হবে।
আপনার ভ্রমণ সুন্দর হোক!